জুমাদাল উলা ১৪৩২ হিঃ (২০)

রোযনামচার পাতা

রোযনামচার একটি পাতা

লিখেছেনঃ জান্নাতুল ফিরদাউস নাঈমা / গফরগাঁও

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

সন্ধ্যার সূর্য তার বিষণ্ণ লাল আভা ছড়িয়ে পশ্চিম দিগন্তে অস্ত গেছে।

(তুমি লিখেছো, ‘বিকেলে সূয্যিমামা তার রক্তিম আভা ছড়িয়ে বিদায় জানাচ্ছে।’

‘সূয্যিমামা’ ব্যবহৃত হয় গল্প বা তরল কোন ক্ষেত্রে। আর বিদায়ের জন্য বিকেলটা সঠিক সময় নয়। তাছাড়া ‘বিদায় জানাচ্ছে’ দ্বারা বোঝা যায় যে, এখনো পূর্ণরূপে অস্ত যায়নি। অথচ পরে মাগরিবের আযান হওয়ার কথা বলেছো।)

মিনার থেকে আযানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। নামায আদায় করলাম। তারপর পড়তে বসলাম।

(তুমি লিখেছো, ‘নামায পড়ে পড়ার টেবিলে বসলাম।’ দুই পড়া একসঙ্গে সুন্দর মনে হয় না। আর নামাযের পরপর ‘পড়ার টেবিল’ ভালো শোনায় না। টেবিল না মাদুর তা বলার কী দরকার? শুধু পড়তে বসার কথা বললেই তো হয়!)

কিন্তু মন বসছে না। অদ্ভুত এক বিষণ্ণতা মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। কেন এই বিষণ্ণতা, বলতে পারি না। হয়ত একটানা ঝিঁঝিপোকার ডাক শুনে, নয়ত দূরের ঐ নাম না-জানা পাখীটির করুণ সুরে।

(তুমি লিখেছো, ‘একটানা ঝিঁঝিপোকার গান শুনে, কিংবা .... করুণ ডাক শুনে।’ ঝিঁঝিপোকার আওয়াযকে গান বলে না, ডাক বলে। পাখীর ক্ষেত্রে ‘ডাক’ যেমন চলে, তেমনি চলে সুর ও স্বর। সন্ধ্যার পাখীর ক্ষেত্রে অবশ্য গান চলে না। সেটা চলে ভোরের পাখীর ক্ষেত্রে। কারণ সন্ধ্যায় পাখীরা থাকে ক্লান্ত, আর ভোরে থাকে সতেজ।)

আচ্ছা, পাখীটা কি কাঁদছে? কেন কাঁদছে? বড় আপু আজ আমাদের ছেড়ে শশুরবাড়ী চলে গেছেন এজন্য কি পাখীটারও কষ্ট হচ্ছে আমার মত? এখন বুঝতে পেরেছি, বড় আপুর জন্যই মনটা আমার এমন বিষণ্ণ। বড় আপুর কথা মনে হলেই ভিতর থেকে একটা কান্না আসে। শশুরবাড়ী যেতে হয় কেন মেয়েদের?

(তারপর তুমি অন্য প্রসঙ্গ এনেছো। সেটা যত মূল্যবানই হোক, উপরের বিষয়বস্ত্তর সঙ্গে মেলে না। তাই সেটা বাদ দেয়াই ভালো।)


শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা