সফর ১৪৩১ হি:(১৫)

কুরআন ও হাদিস

কোরআনের আলো

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম

আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, আর তোমরা ছালাত কায়েম কর এবং যাকাত আদায় কর। আর করয দান কর তোমরা আল্লাহকে উত্তম করয। আর উত্তম যাহা কিছু অগ্রবর্তী করিবে তোমরা নিজেদের (কল্যাণের) জন্য, পাইবে তাহা তোমরা আল্লাহর নিকট। উহা উৎকৃষ্টতর এবং প্রতিদানরূপে মহত্তর। আর ক্ষমাপ্রার্থনা কর তোমরা আল্লাহর নিকট। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

ফায়দা- ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফযীলতপূর্ণ ইবাদত হইল ছালাত ও যাকাত। ছালাত কায়েমকরণের অর্থ নিজে ছালাত আদায় করা এবং সমাজে ছালাত প্রতিষ্ঠিত করা। ছালাত কায়েম হইলে সমাজ হইতে যাবতীয় অন্যায়-অশ্লীলতা বিদূরিত হয়। আর যাকাতের মাধ্যমে বান্দা নিজে পবিত্রতা অর্জন করে; অতঃপর অভাব ও দারিদ্রে্যর পরিবর্তে সমাজে সচ্ছলতা ও প্রাচুর্য আসে।

বান্দার জান-মাল সকল কিছুর মালিক তো আল্লাহ, কিন্তু বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া ও করুণার চূড়ান্ত প্রকাশ এই যে, বান্দা নিজে কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর রাস্তায় যাহা ব্যয় করিবে উহাকে তিনি করয বলিয়াছেন, যেন সম্পদের মালিক বান্দা নিজে! যেন সে অনুগ্রহ করিয়া আল্লাহকে করয দিতেছে। ইহার উদাহরণ এরূপ যে, পিতা অবুঝ

সন্তানকে কিছু দান করেন, অতঃপর তাহার সম্মুখে হাত পাতিয়া বলেন, আমাকে দাও। সন্তান যখন কিছু দান করে, পিতা তখন কত খুশী হন! খুশী হইয়া সন্তানকে আরো কত বেশী দান করেন!

আমরা যাহা কিছু আল্লাহর রাস্তায় দান করি, তাহা আল্লাহর নিকট সঞ্চিত থাকে। কিয়ামতের দিন আমরা উহা আল্লাহর নিকট পাইব। সেই প্রতিদান হইবে আমাদের দানের চেয়ে অনেক অনেক বেশী।

মুমিনের শান হইল বেশী বেশী ইসতিগফার করিতে থাকা। কারণ, জানা-অজানায় বান্দা তো গোনাহ করিতেই থাকে। যখন বান্দা ইসতিগফার ও তাওবা করে আল্লাহ তা‘আলা বান্দার গোনাহ মাফ করিয়া দেন, এমনকি বান্দাহ যদি গোনাহ দ্বারা আসমান-যমিন পূর্ণ করিয়া ফেলে তবু আল্লাহ উহা মাফ করিয়া দিবেন। বান্দাকে মাফ করিতে আল্লাহ তা‘আলা কাহারো পরোয়া করেন না। কেন করিবেন! তহাকে তো জিজ্ঞাসা করিবার কেহ নাই!

নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো ছিলেন মাসূম, নিঃষ্পাপ। তাহার কোন গোনাহ ছিলো না, অথচ তিনি প্রতিদিন সত্তর বার আল্লাহর নিকট ইসতিগফার করিতেন। বস্ত্তত তিনি ইসতিগফার করিতেন উম্মতকে শিক্ষা দিবার জন্য। সুতরাং আমাদের কর্তব্য হইল, নামায কায়েম করা, যাকাত আদায় করা এবং সাধ্যমত আল্লাহর

রাস্তায় খরচ করা। অতঃপর ছোট-বড়, জানা-অজানা যাবতীয় গোনাহের জন্য আল্লাহর নিকট তাওবা ইসতিগফার করা। আল্লাহ আমাদিগকে তাওফীক দান করুন, আমীন

 কোরআন আল্লাহর কালাম এবং মানবজাতির জন্য হিদায়াতের কিতাব। যারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোরআনের আদেশ-নিষেধের উপর আমল করবে তারা দুনিয়াতে এবং আখেরাতে শান্তি লাভ করবে। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা যত দিন কোরআন ও সুন্নাহর উপর আমল করবে, কিছুতেই সরল পথ থেকে বিচ্যুত হবে না। কেয়ামতের দিন কোরআন তার আমলকারীর জন্য আল্লাহর নিকট সুফারিশ করবে। 

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা